1. admin@banglarsangbadprotidin.com : admin :
  2. banglarsangbadprotidin@gmail.com : banglar sangbad : banglar sangbad
১৪ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৯শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| শুক্রবার| দুপুর ২:০৪|

চীনে রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত- ৫

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

আন্তজার্তিক ডেস্ক//

চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশের গাওমি শহরে একটি রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন।

মঙ্গলবারের (২৭ মে) এ বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৯ জন।

বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কারখানার আশপাশের এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে, ছাদ উড়ে যায়। চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক পদার্থ। এখনও বাতাসে ভাসছে কালো ও ধূসর ধোঁয়ার স্তর।

৭৪ হেক্টরের বিশাল এই প্ল্যান্টের পাশে বসবাসকারী ৬৯ বছর বয়সী কৃষক ইউ কিয়ানমিং জানান, বিস্ফোরণের পরপরই তিনি ও তার স্ত্রী নিরাপত্তার জন্য তাদের নাতিকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন। তারা যদিও এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে উল্টো দিক থেকে বাতাস বয়ে যাওয়ায় আপাতত কিছুটা নিরাপদ বোধ করছেন বলে জানান।

তিনি বলেন, আমরা শারীরিকভাবে ঠিক আছি, তবে বিস্ফোরণে বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে এবং ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

৫০০ মিটার দূরে বসবাসকারী লিউ মিং আরেক জন বাসিন্দা বলেন, তার বাড়ি ও কাপড়ের দোকান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি পরিবার নিয়ে অন্যত্র সরে যাওয়ার কথা ভাবছেন। বিস্ফোরণে তার জানালার ফ্রেম গুঁড়িয়ে গেছে, দোকানের মেঝেজুড়ে ছড়িয়ে আছে কাচের টুকরো ও ছেঁড়া কাপড়।

এছাড়া, কাছাকাছি একটি দোকানের মালিক খাবার খাওয়ার সময় বিস্ফোরণের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পান।

২০১৯ সালের আগস্টে গাওমির রেনহে কেমিক্যাল পার্কে স্থাপিত শানডং ইউদাও কেমিক্যাল প্ল্যান্টে কৃষিকাজ ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উৎপাদন হয়। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সেখানে প্রায় ৩০০ কর্মী কাজ করেন।

স্থানীয় প্রশাসন এখনো বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানায়নি। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলের বাতাসের মান পরীক্ষা করা হলেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

চীনে এর আগেও একাধিক রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটেছে। ২০১৫ সালে তিয়ানজিনে একটি রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে ১৭০ জনের বেশি নিহত হন, আহত হন আরও ৭০০ জন। ওই ঘটনার পর দেশটি রাসায়নিক দ্রব্যের নিরাপত্তা ও সংরক্ষণে কঠোর আইন প্রণয়ন করে। একই বছর শানডংয়ে আরেকটি বিস্ফোরণে মারা যান ১৩ জন। এরপরও নিয়মিত বিরতিতে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে, যা প্রশ্ন তুলছে শিল্প নিরাপত্তা ও কার্যকর তদারকি নিয়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2014 banglarsangbadprotidin.com