
আন্তর্জাতিক ডেস্ক//
যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করতে যাচ্ছে এবং এটি উভয়ের জন্য মঙ্গলজনক হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ায় এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত সিইওদের সামনে এই আশা প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার আরোপিত শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে বহুল প্রত্যাশিত আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার তার চীনা সমকক্ষ শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করছেন। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চাপের মধ্যে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং-এর সঙ্গে ইতিমধ্যেই দেখা করেছেন ট্রাম্প।
তাকে একটি জমকালো সংবর্ধনা জানানো হয়। লি কোরীয় উপদ্বীপে শান্তিতে অবদানের জন্য দেশের সর্বোচ্চ সম্মান, গ্র্যান্ড অর্ডার অফ মুগুংওয়াতে ট্রাম্পকে ভূষিত করেন।
ট্রাম্প এবং লি কী নিয়ে আলোচনা করেছেন সে সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তারা শুল্ক চুক্তি নিয়ে খুব বেশি অগ্রসর হবেন এমন সম্ভাবনা নেই, যা বর্তমানে একটি অচলাবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘ বিশেষ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
এদিকে যে জাদুঘরে লি-এর সাথে ট্রাম্পের দেখা করার কথা ছিল তার সামনে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে এবং তাদের টেনে নিয়ে যায়।
সিউলের কেন্দ্রস্থলে গত শনিবার ‘নো ট্রাম্প!’ স্লোগানে মার্কিন দূতাবাসের দিকে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে শত শত মানুষকে। যত তারা দূতাবাস ফটকের কাছাকাছি আসছিল, ততই চড়া হচ্ছিল তাদের কণ্ঠস্বর।
পুলিশের বাস দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করে তাদের গেটে পৌঁছানো ঠেকানো হলেও, মাইকের কল্যাণে তাদের আওয়াজ গোয়াংওয়ামুন স্কয়ার ছাপিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিনিধিদের কানে পৌঁছেছে ঠিকই।
এর থেকে অল্প দূরে গেয়ংবোকগুং প্রাসাদের সামনে ভেসে আসে ভিন্ন স্লোগান, ‘নো চীন’, ‘সিসিপি (চায়নিজ কমিউনিস্ট পার্টি) দূর হও!’।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিবাদী সংস্কৃতির নিরিখে এই সমাবেশগুলো আকারে ছোট হলেও, এরা ইঙ্গিত দিচ্ছিল এক জটিল কূটনৈতিক পরিস্থিতির।যেখানে দেশটির প্রেসিডেন্ট লি জে-মিউংকে একই সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নেতাদের আতিথ্য দিতে হচ্ছে।