1. admin@banglarsangbadprotidin.com : admin :
  2. banglarsangbadprotidin@gmail.com : banglar sangbad : banglar sangbad
১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| বুধবার| ভোর ৫:০০|

কুয়াকাটায় রাস উৎসবে তীর্থযাত্রীদের ঢল

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

কুয়াকাটায় রাস উৎসবে তীর্থযাত্রীদের ঢল

সুনিল সরকার, পটুয়াখালী থেকে।।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসবকে ঘিরে কুয়াকাটায় নেমেছে তীর্থযাত্রীদের ঢল। প্রায় দুই শত বছরের পুরোনো এই ধর্মীয় উৎসবের কারণে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবের প্রাণচাঞ্চল্য। পূর্ণিমা তিথিতে পাপ মোচন ও পূণ্য লাভের আশায় ভক্তদের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।

শুক্রবার সকাল থেকেই কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকাজুড়ে তীর্থযাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। রাসপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি কাজল বরন দাস জানিয়েছেন, আজ ভোর ৫টা ৪৩ মিনিটে পূর্ণিমা তিথি শুরু হয়েছে, যা চলবে শনিবার ভোর ৩টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত। এ সময় ভক্তরা সমুদ্র সৈকতে পূণ্যস্নানে অংশ নেবেন বলে তিনি জানান।
রাসপূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক পুরোহিত ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় পূজার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর রাতভর চলবে নাম কীর্তন, ভাগবৎ পাঠ এবং আরতি। এ বছর বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ভারতের শিল্পী কবিতা ঘোষ শ্রীকৃষ্ণের লীলা কীর্তনে অংশগ্রহণ করবেন।”
আগামীকাল শনিবার ভোরে সূর্যোদয়ের আগেই রাস পূর্ণিমার লগ্নে পুণ্যস্নানে অংশ নিতে সমুদ্র সৈকতে ভক্তদের ঢল নামার কথা রয়েছে। এই সময় ভক্তরা নিজেদের মানত পূর্ণ করতে পূজা-অর্চনা করবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম বলেন, “রাস উৎসব উপলক্ষে এ বছর প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে আমরা আশা করছি। উৎসবটি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, ট্যুরিস্ট পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং গ্রাম পুলিশের সদস্যরা সমন্বিতভাবে কাজ করছেন।”

ট্যুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. হাবীবুর রহমান জানান, তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কুয়াকাটায় গতকাল থেকেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক রয়েছে।

উৎসবে অংশগ্রহণকারী ভক্ত সৌমির বলেন, “আমি সারা বছর অপেক্ষা করি এই দিনটির জন্য। গত পাঁচ বছর ধরে এখানে এসে পুণ্যস্নান করছি। গঙ্গা মা যেন আমার জীবনে মঙ্গল বয়ে আনেন, সেই আশায় মানত করে পূজা দিই।”

শুক্রবার সকাল থেকে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে দুই কিলোমিটার পূর্ব এবং এক কিলোমিটার পশ্চিম পর্যন্ত এলাকাজুড়ে ভক্তদের ব্যাপক সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। রাস উৎসব এবং সমুদ্র স্নানে অংশ নিতে নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়েছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব কুয়াকাটার সংস্কৃতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উৎসব সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা

নিউজটি শেয়ার করুন

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2014 banglarsangbadprotidin.com