
নিজস্ব প্রতিবেদক//
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চাঞ্চল্যকর ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার অন্যতম তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ভুক্তভোগী পরিবারের লুন্ঠিত একটি মোবাইল সেটও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৪ জুলাই রাত দেড়টা থেকে ৩টার মধ্যে কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাদুরতলী এলাকার তরিকুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ৬-৭ জনের ডাকাতদল বাড়ির বেলকনির গ্রিল কেটে ভিতরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা নগদ ৫০ হাজার টাকা, প্রায় ১৩ ভরি স্বর্ণালংকার এবং একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির মালিক তরিকুল ইসলামের আমেরিকান নাগরিক স্ত্রীকে অন্য একটি কক্ষে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য। এ সময় পরিবারের অন্যদেরকে পাহারায় রাখে অপররা।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভুক্তভোগী পরিবারকে সহযোগিতা করেন। একই দিন সকালে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে কলাপাড়া থানায় ডাকাতি ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং-১৪, তারিখ-১৪/০৭/২০২৫)।
পুলিশ সুপার পটুয়াখালী ও বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির নির্দেশনায় জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাত দলের ৩ জন সদস্যকে গ্রেফতার করে। প্রথমে কাওসারকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত এলাকা থেকে, রিপন ওরফে সোহাগকে ঢাকার দারুস সালাম এলাকার একটি বস্তি থেকে এবং তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আশীষকে কলাপাড়া পৌর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মহিপুরের লতাচাপলী ইউনিয়নের আবুল হোসেন হাওলাদারের ছেলে মো. কাওসার (২৪), কলাপাড়া পৌরসভার রনজিত গাইনের ছেলে আশিষ গাইন (৩০), বামনার পোটকাখালী এলাকার জালাল প্যাদার ছেলে মো. শওকত আহমেদ রিপন ওরফে সোহাগ (২৫)।
তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ঘটনার রাতেই ডাকাতদল পরিকল্পনা করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটায়।
এএসপি বাউফল সার্কেল আরিফ মুহাম্মদ শাকুর জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।