1. admin@banglarsangbadprotidin.com : admin :
  2. banglarsangbadprotidin@gmail.com : banglar sangbad : banglar sangbad
৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| হেমন্তকাল| শনিবার| রাত ৯:৩৮|

শেষ হলো রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায়

রিপোর্টার নাম:
  • আপডেট সময় : বুধবার, ৭ মে, ২০২৫
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

বার্তা ডেক্স//

আট কার্যদিবসেই শেষ হলো মাগুরার শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার শুনানি। বুধবার (৭ মে) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শেষ হয় এ সাক্ষ্যগ্রহণ।

ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের দুই চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি। এ নিয়ে মামলায় বাদীসহ মোট ২৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হলো। আগামীকাল ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (০৭ মে) সকাল ১০টার দিকে শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টার দিকে।

এর আগে সকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখসহ সব আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আমরা অবগত আছি মাগুরাতে চাঞ্চল্যকর আছিয়া হত্যা মামলার বিচারকার্য চলছে। সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিনে আজ আদালতে আমরা দুইজন সাক্ষীকে উপস্থাপন করেছিলাম। ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের যারা আছিয়ার ময়নাতদন্ত করেছেন।

আসামিপক্ষ থেকে তাদের জেরা করা হয়েছে। আজ পর্যন্ত আমরা সর্বসাকুল্যে ২৯ জন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করেছি। এবং রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মৌখিকভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষের জন্য আবেদন করেছি। মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ ঘোষণা করেছেন। আগামীকাল ৩৪২ ধারায় আসামিদের পরীক্ষার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামিদের পরীক্ষা শেষে আদালত এই মামলায় যুক্তি তর্কের জন্য দিন ধার্য করবেন।

রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।

ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়।

এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ
© All rights reserved © 2014 banglarsangbadprotidin.com